ব্রিটিশ পাসপোর্ট হলো যুক্তরাজ্যের (United Kingdom) নাগরিকদের জন্য প্রদত্ত একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নথি, যা তাদের পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এটি যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের (Home Office) অধীনে হার ম্যাজেস্টিস পাসপোর্ট অফিস (HM Passport Office) দ্বারা জারি করা হয়। ব্রিটিশ পাসপোর্ট শুধুমাত্র একটি ভ্রমণ নথি নয়, বরং এটি ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি পরিচয়পত্রও বটে। এটি ধারককে বিদেশে ভ্রমণের অনুমতি দেয় এবং বিদেশে থাকাকালীন ব্রিটিশ কনস্যুলার সহায়তা পাওয়ার অধিকার প্রদান করে।
ব্রিটিশ পাসপোর্টের ইতিহাস
ব্রিটিশ পাসপোর্টের ইতিহাস বেশ পুরনো এবং এটি মধ্যযুগ থেকে শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে, পাসপোর্ট ছিল রাজকীয় ঘোষণা বা চিঠির মাধ্যমে প্রদত্ত একটি অনুমতি, যা ভ্রমণকারীদের নিরাপদে বিদেশে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হতো। আধুনিক ব্রিটিশ পাসপোর্টের ধারণা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড নথির প্রয়োজন দেখা দেয়। ১৯২০ সালে লীগ অফ নেশনস (League of Nations) পাসপোর্টের একটি আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণ করে, এবং ব্রিটেনও এই মান গ্রহণ করে।
প্রথম দিকে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল হাতে লেখা এবং কাগজের তৈরি। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাজ্য প্রথম মেশিন-রিডেবল পাসপোর্ট (Machine-Readable Passport) প্রবর্তন করে। তারপর ২০০৬ সালে বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট চালু হয়, যা ইলেকট্রনিক চিপের মাধ্যমে ধারকের তথ্য সংরক্ষণ করে। আবার,
১৯৮৮ সালে মেশিন-রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) চালু হওয়ার পর ২০০৬ সালে বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট আসার ফলে নিরাপত্তার মান আরও বেড়ে যায় । বায়োমেট্রিক চিপে ধারকের মুখের ছবি, আঙুলের ছাপ এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষিত থাকে। ২০২০ সালে ব্রেক্সিটের পর নীল পাসপোর্ট পুনরায় চালু হয়, যা ১৯৮৮ সালের আগে ব্রিটেনে ব্যবহৃত হতো। মূলত ব্রেক্সিটের পর ব্রিটিশ পাসপোর্টের রঙ বারগান্ডি থেকে নীল রঙে ফিরে আসে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।এই পরিবর্তন ব্রিটিশ জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
ব্রিটিশ পাসপোর্টের প্রকারভেদ
ব্রিটিশ পাসপোর্ট বিভিন্ন ধরনের হয়, যা নাগরিকত্বের ধরনের ওপর নির্ভর করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
- ব্রিটিশ সিটিজেন (British Citizen): এটি সবচেয়ে সাধারণ পাসপোর্ট, যা পূর্ণ নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য।
- ব্রিটিশ ওভারসিজ টেরিটরিজ সিটিজেন (British Overseas Territories Citizen): যারা ব্রিটিশ ওভারসিজ টেরিটরি (যেমন, বারমুডা, কেম্যান আইল্যান্ডস) থেকে নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
- ব্রিটিশ ন্যাশনাল (ওভারসিজ) – BNO: হংকংয়ের ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে ১৯৯৭ সালে হংকং চীনের কাছে হস্তান্তরের আগে যারা এটি পেয়েছিলেন।
- ডিপ্লোম্যাটিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্ট: সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের জন্য।
ব্রিটিশ পাসপোর্টের গঠন ও নকশা
আধুনিক ব্রিটিশ পাসপোর্টে বেশ কিছু নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ৩৪টি পৃষ্ঠা বিশিষ্ট (স্ট্যান্ডার্ড পাসপোর্ট) এবং বায়োমেট্রিক চিপে ধারকের ছবি, নাম, জন্মতারিখ, জাতীয়তা ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষিত থাকে। পাসপোর্টের প্রচ্ছদে যুক্তরাজ্যের রাজকীয় প্রতীক (Royal Coat of Arms) এবং “United Kingdom of Great Britain and Northern Ireland” লেখা থাকে। ভেতরের পৃষ্ঠাগুলোতে ব্রিটিশ ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও সংস্কৃতির প্রতীকী চিত্র থাকে।
ব্রিটিশ পাসপোর্টের আইনি ভিত্তি
ব্রিটিশ পাসপোর্ট জারির ক্ষমতা রাজকীয় বিশেষাধিকার (Royal Prerogative) থেকে আসে, যা যুক্তরাজ্যের রাজা বা রানির অধীনে পরিচালিত হয়। তবে, এটি ব্যবহারিকভাবে হোম অফিস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। আইন অনুযায়ী, কোনো ব্রিটিশ নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার “অধিকার” নেই; এটি একটি সুবিধা, যা সরকার প্রত্যাহার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় নিরাপত্তার কারণে বা অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকলে পাসপোর্ট বাতিল করা যেতে পারে।
ব্রিটিশ পাসপোর্টের শক্তি
ব্রিটিশ পাসপোর্ট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স (Henley Passport Index) অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এটি শীর্ষ ৫-১০টি পাসপোর্টের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এটি ধারককে প্রায় ১৮৫টি দেশে ভিসা-মুক্ত বা ভিসা-অন-এরাইভাল প্রবেশের সুবিধা দেয়। তবে ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণের জন্য কিছু অতিরিক্ত নিয়ম মানতে হয়।
পাসপোর্টের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য
আধুনিক ব্রিটিশ পাসপোর্টে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন:
- বায়োমেট্রিক চিপ: এতে ধারকের তথ্য এনক্রিপ্টেড আকারে থাকে।
- হলোগ্রাফিক ইমেজ: পাসপোর্টের পৃষ্ঠায় আলোর কোণে ছবি পরিবর্তন হয়।
- মাইক্রোটেক্সট: খালি চোখে দেখা কঠিন ক্ষুদ্রাক্ষরে লেখা।
- ইউভি প্রিন্টিং: অতিবেগুনি আলোর নিচে দৃশ্যমান নকশা।
- এই বৈশিষ্ট্যগুলো জালিয়াতি রোধ করে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে দ্রুত পরিচয় যাচাইয়ে সহায়তা করে।
পাসপোর্টের ভেতরের নকশা
নতুন নীল পাসপোর্টের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ব্রিটিশ সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:
- বিখ্যাত ব্রিটিশ ব্যক্তিত্ব যেমন উইলিয়াম শেক্সপিয়র, আইজ্যাক নিউটন।
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন লেক ডিস্ট্রিক্ট, স্নোডোনিয়া।
- ঐতিহাসিক স্থান যেমন স্টোনহেঞ্জ, এডিনবরা ক্যাসল।
- এই নকশাগুলো পাসপোর্টকে শুধু একটি নথি নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক দলিল হিসেবে উপস্থাপন করে।
দেখুনঃ British Passport 2025: Unveiling the All-New British Passport Design
Credit: MAK PRESENTS
আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত
ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হলে:
- অনলাইন আবেদন:UK ওয়েবসাইটে ফর্ম পূরণ করতে হয়।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: জন্ম সনদ, নাগরিকত্বের প্রমাণ, পাসপোর্ট সাইজের ছবি (ডিজিটাল বা ফিজিক্যাল)।
- ফি: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৮৮.৫০ পাউন্ড (অনলাইন) বা ১০০ পাউন্ড (ডাকযোগে); শিশুদের জন্য ৫৭.৫০ পাউন্ড।
- প্রক্রিয়াকরণের সময়: সাধারণত ৩ সপ্তাহ, তবে জরুরি সেবায় ১-২ দিনে পাওয়া যায় (অতিরিক্ত ১৪২ পাউন্ড ফি)।
- বিদেশ থেকে আবেদন করলে সময় বেশি লাগতে পারে এবং কনস্যুলেটের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ব্রেক্সিটের প্রভাব
২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্রিটিশ পাসপোর্টের কিছু সুবিধা পরিবর্তিত হয়েছে। আগে ব্রিটিশ নাগরিকরা ইইউ দেশগুলোতে ভিসা ছাড়া অবাধে প্রবেশ করতে পারতেন। এখন তাদের শেনজেন এলাকায় প্রতি ১৮০ দিনে ৯০ দিনের বেশি থাকতে হলে ভিসার প্রয়োজন হয়। তবে, বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর শক্তি অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
ব্রিটিশ পাসপোর্টের বৈধতা ও নবায়ন
প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট ১০ বছর এবং শিশুদের জন্য ৫ বছর মেয়াদী। নবায়নের সময় পুরনো পাসপোর্ট জমা দিতে হয় এবং নতুন আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট দিয়ে ভ্রমণ করা যায় না, এবং অনেক দেশে প্রবেশের জন্য কমপক্ষে ৬ মাসের বৈধতা থাকা বাধ্যতামূলক।
বিশ্বে ব্রিটিশ পাসপোর্টের মর্যাদা
হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স ২০২৫ অনুযায়ী, ব্রিটিশ পাসপোর্ট ধারকরা ১৮৫টির বেশি দেশে ভিসা-মুক্ত বা ভিসা-অন-এরাইভাল প্রবেশ করতে পারেন। এটি জাপান, সিঙ্গাপুর, জার্মানির মতো শক্তিশালী পাসপোর্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। তবে, ব্রেক্সিটের কারণে ইউরোপে এর কিছু সুবিধা হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষ পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট
- হারিয়ে গেলে: জরুরি ভ্রমণ নথি (Emergency Travel Document) জারি করা হয়, যা একবার ব্যবহারযোগ্য।
- ক্ষতিগ্রস্ত হলে: অবিলম্বে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হয়।
- রাজনৈতিক আশ্রয়: ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী কোনো ব্যক্তি বিদেশে বিপদে পড়লে কনস্যুলার সহায়তা পান।
বাংলাদেশীদের জন্য ব্রিটিশ পাসপোর্ট যেভাবে সম্ভব
ব্রিটিশ পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য একজন বাংলাদেশী নাগরিককে প্রথমে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব (British Citizenship) অর্জন করতে হবে। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ছাড়া কেউ ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন না। বাংলাদেশীদের জন্য এটি সাধারণত যেভাবে সম্ভব:
১। দীর্ঘমেয়াদী বসবাস ও ন্যাচারালাইজেশন
- বৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ: বাংলাদেশী নাগরিকরা সাধারণত কাজ, পড়াশোনা, বা পারিবারিক ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন। উদাহরণস্বরূপ, টিয়ার ২ ওয়ার্ক ভিসা (Skilled Worker Visa), স্টুডেন্ট ভিসা, বা ফ্যামিলি ভিসা।
- ইন্ডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (ILR): যুক্তরাজ্যে নির্দিষ্ট সময় (সাধারণত ৫ বছর) বৈধভাবে বসবাস করার পর ILR-এর জন্য আবেদন করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে (যেমন ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে বিবাহের ক্ষেত্রে) এটি ৩ বছরেও সম্ভব।
- ন্যাচারালাইজেশন: ILR পাওয়ার পর আরও ১ বছর যুক্তরাজ্যে থাকার পর ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। এর জন্য “Life in the UK” পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।
২। ব্রিটিশ পিতামাতার সন্তান হিসেবে
- যদি কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের সন্তান যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করে এবং তার পিতা বা মাতা ব্রিটিশ নাগরিক হন, তবে সেই সন্তান জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে তারা সরাসরি ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৩। BNO (British National Overseas) রুট
- ১৯৯৭ সালের আগে হংকংয়ে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের জন্য BNO সুবিধা ছিল। বাংলাদেশীদের জন্য এটি সরাসরি প্রযোজ্য নয়, তবে যদি কোনো বাংলাদেশী পরিবারের সদস্য BNO স্ট্যাটাসের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে এসে নাগরিকত্ব পেয়ে থাকেন, তবে তাদের সন্তান বা নির্ভরশীলরা এই সুবিধা পেতে পারেন।
৪। রিফিউজি বা অ্যাসাইলাম স্ট্যাটাস
- যদি কোনো বাংলাদেশী নাগরিক রাজনৈতিক বা অন্য কারণে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রার্থী হিসেবে গৃহীত হন এবং পরে ILR পান, তবে তারা ন্যাচারালাইজেশনের মাধ্যমে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পেতে পারেন।
বাংলাদেশীদের জন্য ব্রিটিশ পাসপোর্টের সুবিধা
- ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ: ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীরা ১৮৫টির বেশি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন, যা বাংলাদেশী পাসপোর্টের তুলনায় অনেক বেশি।
- কাজ ও বসবাসের অধিকার: ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীরা যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার অধিকার পান।
- শিক্ষার সুযোগ: ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে, আপনি যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে কম খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।
- কনস্যুলার সহায়তা: বিদেশে বিপদে পড়লে ব্রিটিশ দূতাবাস থেকে সহায়তা পাওয়া যায়, যা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
- ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণ সুবিধা: ব্রেক্সিটের পরও ব্রিটিশ নাগরিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে সহজে ভ্রমণ করতে পারেন, কিছু শর্তের অধীনে।
আরও পড়ুনঃ কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম: দ্রুত প্রক্রিয়া এবং বাতিল হওয়ার কারণ
বাংলাদেশী পাসপোর্ট বনাম ব্রিটিশ পাসপোর্ট
- মেয়াদ: বাংলাদেশী পাসপোর্ট প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০ বছর এবং শিশুদের জন্য ৫ বছর মেয়াদী, যা ব্রিটিশ পাসপোর্টের সমান।
- ভ্রমণ সুবিধা: বাংলাদেশী পাসপোর্টে ৪২টি দেশে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ সম্ভব (হেনলি ইনডেক্স ২০২৫ অনুযায়ী), যেখানে ব্রিটিশ পাসপোর্টে এটি অনেক বেশি।
- নিরাপত্তা: উভয় পাসপোর্টই বায়োমেট্রিক, তবে ব্রিটিশ পাসপোর্টে আরও উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
বিশেষ বিবেচনা
- দ্বৈত নাগরিকত্ব: বাংলাদেশ সরকার দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয়। তাই একজন বাংলাদেশী ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ধরে রাখতে পারেন।
- ব্রিটিশ-বাংলাদেশী সম্প্রদায়: যুক্তরাজ্যে প্রায় ৫ লাখের বেশি ব্রিটিশ-বাংলাদেশী বসবাস করেন, বিশেষ করে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস, বার্মিংহাম, ও ওল্ডহ্যামে। এই সম্প্রদায়ের অনেকেই ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।
বাংলাদেশীদের জন্য ব্রিটিশ পাসপোর্ট পাওয়া একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, যা বৈধভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস, নাগরিকত্ব অর্জন এবং আবেদনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এটি ভ্রমণ, কাজ এবং জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা প্রদান করে থাকে ।
[…] […]