Pick Your VISA
চায়না ভিসা খরচ ২০২৫

চায়না ভিসা খরচ ২০২৫ | আপডেটেড ফি, আবেদন প্রক্রিয়া ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (2025)

আরেহ! ২০২৫ সালে চায়না যাওয়ার কথা ভাবছেন? দারুণ তো! চীন মানেই তো এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা – প্রাচীন সংস্কৃতি আর আধুনিকতার এক দারুণ মিশেল। কিন্তু বিদেশ ভ্রমণের আগে ভিসা নিয়ে একটা চিন্তা তো থেকেই যায়, তাই না? বিশেষ করে ভিসার খরচ নিয়ে অনেকেই একটু দ্বিধায় ভোগেন। চিন্তা নেই! আজকের এই লেখাটা আপনার জন্যই, যেখানে আমরা চায়না ভিসা খরচ ২০২৫ নিয়ে সব খুঁটিনাটি আলোচনা করব, একদম সহজ ভাষায়। যেন আপনার ভিসা প্রক্রিয়াটা হয় মসৃণ আর আনন্দময়!

সূচিপত্র

চায়না ভিসা খরচ ২০২৫: একটি বিস্তারিত আলোচনা

চায়না ভিসা খরচ ২০২৫ সালে কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আপনার মনে নিশ্চয়ই অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সত্যি বলতে কি, এই খরচটা কিন্তু ভিসার ধরন, আপনি কত দ্রুত ভিসা পেতে চান এবং আপনার নাগরিকত্বের ওপর নির্ভর করে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে একটা মোটামুটি ধারণা থাকলে আপনার পরিকল্পনা করতে সুবিধা হবে, তাই না?

সাধারণত, বাংলাদেশে চায়না ভিসার খরচ প্রায় ২৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ১১,২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনি সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা নিচ্ছেন নাকি মাল্টিপল এন্ট্রি। আর যদি আপনার খুব তাড়াহুড়ো থাকে, অর্থাৎ এক্সপ্রেস সার্ভিসের মাধ্যমে ভিসা নিতে চান, তাহলে তো একটু বাড়তি খরচ হবেই। তবে চলুন, বিষয়টা আরেকটু পরিষ্কার করে বুঝি।

ভিসার ধরন অনুযায়ী খরচ

চায়নাতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, যেমন ট্যুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ফ্যামিলি রিইউনিয়ন ভিসা ইত্যাদি। প্রতিটি ভিসার উদ্দেশ্য এবং মেয়াদ ভিন্ন হওয়ায় খরচও ভিন্ন হয়।

  • একক প্রবেশ ভিসা (Single Entry Visa): আপনি যদি শুধুমাত্র একবার চীনে প্রবেশ করতে চান এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকতে চান, তাহলে এই ভিসাটি আপনার জন্য উপযুক্ত। এর খরচ সাধারণত ২৪০০ টাকার আশেপাশে থাকে। এটা তাদের জন্য ভালো, যারা অল্প সময়ের জন্য চীন ভ্রমণ করতে চান বা নির্দিষ্ট কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে চান।
  • একাধিক প্রবেশ ভিসা (Multiple Entry Visa): যারা বারবার চীনে যাতায়াত করতে চান, যেমন ব্যবসায়ী বা যাদের পরিবার চীনে থাকে, তাদের জন্য এই ভিসাটি দারুণ কাজের। এই ভিসার মেয়াদ ১২ মাস থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত হতে পারে। এর খরচ ৭,২০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ১১,২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা ভিসার মেয়াদ এবং ডেলিভারির সময়ের ওপর নির্ভর করে।
  • গ্রুপ ভিসা: যদি আপনি একটি বড় গ্রুপ নিয়ে চীন ভ্রমণ করেন, তাহলে গ্রুপ ভিসার ব্যবস্থা আছে। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রতিজনের খরচ কিছুটা কম পড়ে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।

দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ: এক্সপ্রেস সার্ভিস

কখনো কি এমন হয়েছে যে আপনার হঠাৎ করেই চীনে যেতে হবে কিন্তু ভিসার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই? এমন পরিস্থিতিতে এক্সপ্রেস সার্ভিস আপনার ত্রাতা হিসেবে হাজির হতে পারে। এই সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত ভিসা পেয়ে যাবেন, তবে এর জন্য স্বাভাবিক খরচের চেয়ে কিছুটা বেশি টাকা গুণতে হবে। এই অতিরিক্ত ফিটা মূলত আপনার জরুরি প্রয়োজনের জন্য, তাই এটাকে বাড়তি বিনিয়োগ হিসেবেই দেখতে পারেন।

নাগরিকত্ব অনুযায়ী চায়না ভিসা খরচ ২০২৫: একটি তুলনামূলক চিত্র

ভিসার খরচ শুধু ভিসার ধরন বা প্রক্রিয়াকরণের সময়ের ওপরই নির্ভর করে না, আপনার নাগরিকত্বের ওপরেও নির্ভর করে। বাংলাদেশ দূতাবাস বেইজিংয়ে অবস্থিত এবং এটি ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া (DPRK) এবং মঙ্গোলিয়ার জন্যও ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করে। চলুন, কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসার খরচ কেমন হয়, তা একটি টেবিলের মাধ্যমে দেখে নিই।

ক্রমিক নং ভিসার ধরন চীনা নাগরিকদের জন্য (সাধারণ) চীনা নাগরিকদের জন্য (জরুরি) মঙ্গোলিয়ান নাগরিকদের জন্য (সাধারণ)
1 সিঙ্গেল এন্ট্রি RMB 200 RMB 300 RMB 335
2 ডাবল এন্ট্রি RMB 250 RMB 350 RMB 500
3 মাল্টিপল এন্ট্রি RMB 585 RMB 585 RMB 1495

দ্রষ্টব্য: এই তালিকাটি শুধু উদাহরণস্বরূপ। সঠিক এবং আপডেটেড তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করা আবশ্যক।

এই টেবিলটি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, একই ভিসার জন্য ভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভিন্ন ভিন্ন ফি দিতে হয়। এর কারণ হলো পারস্পরিক চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

চায়না ভিসা খরচ ২০২৫ নিয়ে তো অনেক কথা হলো, এবার চলুন জেনে নিই ভিসার জন্য কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। সঠিক কাগজপত্র জমা না দিলে আপনার ভিসা আবেদন বাতিলও হয়ে যেতে পারে, তাই এই অংশটি খুব মন দিয়ে পড়ুন।

চায়না ভিসার জন্য কি কি লাগে?

চায়না ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ কাগজপত্র সব ভিসার ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয়:

  • পাসপোর্ট: অবশ্যই ৬ মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে এবং কমপক্ষে দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • ভিসা আবেদন ফরম: সঠিকভাবে পূরণ করা এবং স্বাক্ষর করা ফরম।
  • ছবি: সাম্প্রতিক তোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সাধারণত ২ কপি)।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ: আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য।
  • আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ: ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্যালারি স্টেটমেন্ট ইত্যাদি। এটি প্রমাণ করে যে আপনি চীনে থাকাকালীন আপনার খরচ বহন করতে পারবেন।
  • ভ্রমণ পরিকল্পনা: হোটেল রিজার্ভেশন, বিমানের টিকিট বুকিং (আগত ও নির্গত) এবং আপনার ভ্রমণের বিস্তারিত পরিকল্পনা।
  • পেশাগত কাগজপত্র: চাকরিজীবী হলে এনওসি (No Objection Certificate), ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি।
  • আমন্ত্রণপত্র (যদি থাকে): বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে চীনা কোম্পানি থেকে আমন্ত্রণপত্র বা ভিজিটর ভিসার ক্ষেত্রে আত্মীয়/বন্ধুর আমন্ত্রণপত্র।

এই কাগজপত্রগুলো ভিসার ধরন অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ভর্তির প্রমাণপত্র ইত্যাদি লাগবে। তাই আবেদনের আগে চীনের দূতাবাস বা ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার নির্দিষ্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।

টুরিস্ট ভিসা করতে কী কী লাগে?

টুরিস্ট ভিসা সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য চীনের সৌন্দর্য উপভোগ করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়। এই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সাধারণত উপরে উল্লিখিত সাধারণ কাগজপত্রের মতোই হয়। তবে কিছু অতিরিক্ত বিষয় বিবেচনা করা হয়:

  • বিস্তারিত ভ্রমণসূচী: আপনি চীনে কোথায় কোথায় যাবেন, কী কী দেখবেন, তার একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা।
  • হোটেল বুকিং: আপনার পুরো ভ্রমণের জন্য হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণ।
  • বিমান টিকিট: আসা-যাওয়ার নিশ্চিত টিকিট।
  • আর্থিক সক্ষমতা: আপনার ভ্রমণ এবং চীনে থাকাকালীন খরচ মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আছে তার প্রমাণ।

মনে রাখবেন, আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা যত সুনির্দিষ্ট হবে, ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। কারণ দূতাবাস নিশ্চিত হতে চায় যে আপনি সত্যিই একজন পর্যটক এবং আপনার ফিরে আসার উদ্দেশ্য পরিষ্কার।

আরও দেখুনঃ চীনের টুরিস্ট ভিসা পেতে কত টাকা লাগে ? সময় কত দিন ও কি কাগজপত্র লাগে ? China Tourist Visa from BD

সৌজন্যঃ tGal 

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া: ধাপে ধাপে

ভিসার খরচ আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে তো জানলেন, এবার চলুন জেনে নিই ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াটা কেমন হয়।

ধাপ ১: তথ্যানুসন্ধান ও প্রস্তুতি

প্রথমেই চীনের দূতাবাস বা ভিসা সার্ভিস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ভিসার ধরন, খরচ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তথ্যের সামান্য ভুল বা অসম্পূর্ণতা আপনার আবেদন বাতিল করতে পারে।

ধাপ ২: আবেদন ফরম পূরণ

সঠিকভাবে অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করুন। প্রতিটি তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। কোনো ভুল তথ্য দিলে সমস্যা হতে পারে।

ধাপ ৩: ছবি ও কাগজপত্র সংগ্রহ

আপনার পাসপোর্ট, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, হোটেল বুকিং, বিমানের টিকিট, আমন্ত্রণপত্র (যদি থাকে) সহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন। প্রতিটি কাগজের মূল কপি এবং ফটোকপি উভয়ই প্রস্তুত রাখুন।

ধাপ ৪: অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও জমা দেওয়া

অনেক সময় ভিসা সেন্টারে সরাসরি গিয়ে আবেদন জমা দিতে হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। আপনার ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য, তা জেনে সেই অনুযায়ী কাজ করুন। নির্ধারিত দিনে সকল কাগজপত্র সহ ভিসা সেন্টারে উপস্থিত হন এবং আবেদন জমা দিন।

ধাপ ৫: ভিসা ফি পরিশোধ

আবেদন জমা দেওয়ার সময়ই আপনাকে ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। অনেক সময় নগদ টাকা বা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়।

ধাপ ৬: ভিসা সংগ্রহ

আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটি রসিদ দেওয়া হবে, যেখানে ভিসা সংগ্রহের তারিখ উল্লেখ থাকবে। নির্ধারিত দিনে রসিদ দেখিয়ে আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা সংগ্রহ করুন।

মনে রাখবেন, ভিসা প্রক্রিয়াটি ধৈর্য এবং সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করা উচিত। কোনো ধাপে ভুল করলে আপনার সময় এবং অর্থ দুটোই নষ্ট হতে পারে।

ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার টিপস

ভিসা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার জন্য কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন:

  • সবকিছু আগে থেকে করুন: আপনার ভ্রমণের তারিখের অনেক আগে থেকেই ভিসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন। এতে তাড়াহুড়ো থাকবে না এবং কোনো সমস্যা হলে সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
  • নির্ভুল তথ্য দিন: আবেদন ফরমে এবং সকল কাগজপত্রে সঠিক ও নির্ভুল তথ্য দিন। সামান্য ভুলও আপনার আবেদন বাতিল করতে পারে।
  • সঠিক কাগজপত্র: আপনার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করুন। কোনো কাগজপত্র যেন বাদ না পড়ে।
  • আর্থিক স্বচ্ছলতা: আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণপত্র যেন যথেষ্ট হয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • ভ্রমণ পরিকল্পনা: আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা যত সুনির্দিষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য হবে, ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।
  • যোগাযোগ: যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা কোনো বিষয়ে অনিশ্চিত থাকেন, তাহলে সরাসরি চীনা দূতাবাস বা অনুমোদিত ভিসা সার্ভিস সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করুন। তারাই আপনাকে সবচেয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারবে।
  • আপডেট থাকুন: চীনা ভিসার নিয়মকানুন মাঝে মাঝে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই আবেদনের আগে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করে নিন।

এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনার চায়না ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াটা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ!

কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর

ভিসা নিয়ে অনেকের মনেই কিছু সাধারণ প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। চলুন, সেই প্রশ্নগুলোর কিছু উত্তর জেনে নিই।

চায়না ভিজিটর ভিসার দাম কত?

চায়না ভিজিটর ভিসার দাম ভিসার ধরন এবং প্রক্রিয়াকরণের সময়ের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিজিটর ভিসার খরচ প্রায় ২৪০০ টাকা থেকে শুরু হয়। যদি আপনি মাল্টিপল এন্ট্রি ভিজিটর ভিসা নিতে চান, তাহলে খরচ আরও বেশি হতে পারে, যা ৭,২০০ টাকা থেকে ১১,২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এক্সপ্রেস সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুত ভিসা নিতে চাইলে অতিরিক্ত ফি যোগ হবে।

চীন ভিসা ফ্রি ২০২৫?

না, ২০২৫ সালেও বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য চীন ভিসা ফ্রি নয়। অর্থাৎ, চীন ভ্রমণে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভিসা নিতে হবে। যদিও কিছু দেশের জন্য চীন ভিসা ফ্রি ভ্রমণের সুবিধা দিয়েছে, বাংলাদেশ সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে, ভবিষ্যতে নীতির পরিবর্তন হলে হয়তো এমনটা হতে পারে। তাই সব সময় চীনের দূতাবাস বা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সর্বশেষ তথ্য জেনে নেওয়া ভালো।

চায়না এক্সপ্রেস ভিসা ফি কত?

চায়না এক্সপ্রেস ভিসা ফি সাধারণত সাধারণ ভিসা ফি-এর উপরে অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে যোগ হয়। এই অতিরিক্ত চার্জটি আপনার ভিসা কত দ্রুত প্রয়োজন তার ওপর নির্ভর করে। যেমন, যদি আপনি ২-৩ কর্মদিবসের মধ্যে ভিসা পেতে চান, তাহলে একরকম চার্জ, আর যদি তার চেয়েও দ্রুত চান, তাহলে আরেক রকম। সাধারণত, এই ফি কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সঠিক ফি জানার জন্য ভিসা সেন্টার বা দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা সবচেয়ে ভালো।

চায়না S1 ভিসা কি?

চায়না S1 ভিসা হলো একটি রেসিডেন্ট পারমিট ভিসা, যা দীর্ঘমেয়াদী পারিবারিক পুনর্মিলন বা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে চীনে থাকার জন্য দেওয়া হয়। এই ভিসা সাধারণত তাদের জন্য, যারা চীনের কোনো নাগরিকের স্বামী/স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা বা নিকটাত্মীয় এবং চীনে তাদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে চান। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী ভিসা, যা সাধারণত ১৮০ দিনের বেশি সময়ের জন্য বৈধ হয়। S1 ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে, চীনে থাকা আপনার আত্মীয়ের আমন্ত্রণপত্র, সম্পর্কের প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এই ভিসা পাওয়ার পর চীনে পৌঁছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্থানীয় পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো থেকে রেসিডেন্ট পারমিট নিতে হয়।

এটার সাথে S2 ভিসা গুলিয়ে ফেলবেন না। S2 ভিসা হলো স্বল্পমেয়াদী পারিবারিক পুনর্মিলন বা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে, যা ১৮০ দিনের কম সময়ের জন্য বৈধ।

আরও পড়ুনঃ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (IVAC) নিয়ে সর্বশেষ আপডেট। 

শেষ কথা: আপনার চীন ভ্রমণের স্বপ্ন সত্যি হোক!

আরেহ, এতদূর পর্যন্ত পড়ে ফেলেছেন! তার মানে তো আপনি সত্যিই চীন ভ্রমণের ব্যাপারে সিরিয়াস। দারুণ! ২০২৫ সালের চায়না ভিসা খরচ নিয়ে আপনার মনে যে প্রশ্নগুলো ছিল, আশা করি তার উত্তর পেয়েছেন। মনে রাখবেন, সঠিক প্রস্তুতি আর একটু ধৈর্যই আপনার চীন ভ্রমণের স্বপ্নকে সত্যি করতে পারে।

চীন সত্যিই এক অসাধারণ দেশ, যেখানে প্রাচীন সভ্যতা আর আধুনিকতার এক অদ্ভুত মেলবন্ধন ঘটেছে। চীনের মহাপ্রাচীরের বিশালতা থেকে শুরু করে সাংহাইয়ের আকাশচুম্বী অট্টালিকা, বেইজিংয়ের নিষিদ্ধ নগরী থেকে স্যান্ডি বিচ – সবকিছুই আপনাকে মুগ্ধ করবে। আর সেখানকার মুখরোচক খাবার, দারুণ সব শপিং আর বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষগুলো তো আছেই!

আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে বা চীন ভ্রমণ নিয়ে জানতে ইচ্ছে করে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু! আমরা সব সময় আপনার পাশে আছি। আপনার চীন ভ্রমণ হোক আনন্দময় আর স্মৃতিময়! শুভ যাত্রা!

Md Mahmud Hasan

A dedicated entrepreneur and SEO strategist. At 'Hasan Hive, Bengal Deal, Pick Your VISA & More,' he helps businesses enhance their online presence and achieve impressive results through innovative digital marketing solutions.

Add comment

Recent posts